একসময় একটা তৃণভূমিতে পিঁপড়ে আর ফড়িং বাস করত সারাদিন পিঁপড়েরা কঠিন পরিশ্রম করে চাষের জমি থেকে গমের শীষ ধানের সংগ্রহ করে আনত তারা খুব নিয়ম মেনে কাজ করতো প্রত্যেকদিন সকালে সূর্য ওঠার সাথে সাথে তারা মাঠে মাথায় করে বাড়ি শ্বশুর বই নিয়ে আসতো গবেষণাগুলো তারা খুব সাবধানে তাদের ভাঁড়ার ঘরের রেখে আবার মাঠে ফিরে যেত উল্টো দিকে পড়েছে সারা দিন ছায়ায় বিশ্রাম নিত নিজে গান গাইতে খাবার খেতে সবসময় বাড়িতে থাকতো আর ভবিষ্যতের কথা ভাবতে না সে সবসময় সারাদিন পরিশ্রম করা বেচারা পিঁপড়াদের কথা ভেবে কষ্ট পেয়ে ভাবে দিন কাটতে থাকলো
আর ফড়িং ঘাসের মধ্যে অলস ভাবে আরাম করে খেয়েদেয়ে বিশ্রাম করতে থাকলো মনের খুশিতে গান গাইতে থাকতেও কারণ এর কোনো কষ্টই ছিলনা কিন্তু উল্টো দিকে পিঁপড়েরা অনেক পরিশ্রম করে শস্যদানা গুলো তাদের বাসায় বৌ নিয়ে আসতো যখন পিঁপড়েরা শস্যদানা বইছিল একটা পিঁপড়ে শস্যদানার ভার বইতে না পেরে পড়ে গেল ক্লান্ত ছিল ছোট পেয়েছিল কিন্তু পরিপাকে সাহায্য না করে তার দিকে তাকিয়ে হাসল তখন পিপড়ে শস্যদানা তো আমার বাসায় দিয়ে আসতে পারবে তাহলে আমি সত্যিই খুব উপকার হবে না শুনে নিজের মনে গান গাইতে থাকলো অনেক কসরত করে ep-85 শস্যদানা নিজেই জন্য
হরিণটা বলল-এসো চারদিকে ঝলমলে রোদ দুর কাজ করে বেকার এত সময় নষ্ট করে কি লাভ করে ওর কথা না শুনে মাথা নিচু করে আরো তাড়াতাড়ি মাঠের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলো এটা দেখে আরো জোরে হেসে উঠল আরে বোকা পিঁপড়েরা সেটাকে চিৎকার করে বলল আরে এসো আমার সাথে মজা করো এত কাজ করে কি লাভ আমি শীতের জন্য খাবার সঞ্চয় করছি আর আমি তোমাকে সেটা করতে বলছি এখন তো খাবার অনেক আছে আর শীতকালের খাবার জোগাড় করার জন্য অনেক সময় আছে কিন্তু তার কি করা উচিত তাই সে আবার নিজের কাজ করতে চলে
আর কুড়ি তৃণভূমিতে লাফিয়ে লাফিয়ে মনের খুশিতে গাইতে নাচতে থাকলো আমি অনেকদিন জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরিবর্তে ফড়িং নিজের অবসর সময় নাচতে গাইতে আর খেলতে পছন্দ করত সে বুঝতে পারিনি যে সুন্দর গ্রীষ্মকাল সারা জীবন থাকবে না আর কিছুদিনের মধ্যেই বর্ষা শীত কাল আসবে শরৎকাল শরৎকাল পেরিয়ে সূর্য প্রায় দেখাই যেত না একদিন ছোট হতে থাকলো অনেক বড় হতে শুরু করল ভয়ংকর ঠান্ডা পড়লে তুষারপাত শুরু হল ফরিং ঠাণ্ডা হাওয়ায় কাঁপতে থাকলো সেই শুকনো পাতা দিয়ে নিজেকে ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করল কিন্তু তীব্র হাওয়ায় সেগুলো উড়ে চলে গেল তার ক্ষিদে পেলে কোন
খুঁজে পেল না সে বুঝতে পারল সে কিছু না খেলে খুব তাড়াতাড়ি মরে যাবে সে দুর্বল হয়ে পড়ল সে বুঝতে পারলেই ঠিক কথা বলেছিল আর প্রস্তুত হওয়া উচিত ছিল ফড়িংয়ের আর গান গাওয়ার শক্তি ছিলনা সে দুর্বল আর ক্ষুধার্ত ছিল বরফের হাত থেকে বাচার মত তার কোন আছিল না খাবার ও ছিলনা তৃণভূমি আর চাষীদের ছবি বরফে ঢেকে গিয়েছিল কোন খাবার পাওয়া যাচ্ছিল না কি করবো আমি কোথায় আমি যাব সোরিন দুঃখ প্রকাশ করল এভাবে নিজেই শীতকালটা আগে থেকে কঠিন হবে আর যেহেতু সে নিজের জন্য খাবার সঞ্চয় করে নিস না অন্য কাউকে সেটা করতে সাহায্য করেনি তাই সে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত বেঁচে থাকবে না বড় থেকে বাঁচার জন্য তার কোন আশ্রয় ছিল না আর খিদে
মেলায় মরণাপন্ন হয়ে পড়েছিল তখনই সে দেখতে পেল পিঁপড়েরা তাদের গ্রীষ্মকালের সঞ্চয় করা খাবার খাচ্ছে আর আশ্রয় খুশি হয়ে বলল তারপর সেই পরে বেলায় উঠে তাদের দরজায় ধাক্কা দিলো শুনছো পিঁপড়েরা খুশি হয়ে বলল আমি এসে গেছি তোমাদের জন্য গান গাইতে হারামের চাই একটু আগুন পোহাতে আহার তোমরা আমার জন্য কিছুটা খাবার আনবে তোমাদের ঐখান থেকে আমরা তোমার কোন গান শুনতে চাই না শুধু তোরে আসার জন্য অনুরোধ জানালো আর বলল তাকে কিছু খাবার দিতে এসে মারা যাবে
ঈদের জন্য কিছু সঞ্চয় করে নিই তাহলে তুমি সারা গ্রীষ্মকালে কি করছিলে আমার কাছে কোন সময় ছিল না খাবার জোগাড় করার জন্য অনুতাপ করল আমি তো গান গাইতে খুব ব্যস্ত ছিলাম যতনে বুঝেছি ততক্ষনে গ্রীষ্ম চলে গেছে আর ফড়িঙের কথা না শুনে নিজেদের কাজে ফিরে গেল একদিন ফড়িং এর কাছে সাহায্য চেয়েছে তার দিকে তাকিয়ে বলল সারা গ্রীষ্মকালে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি আর তুমি আমাকে নিয়ে মজা করেছ দান গেছো নিচে চোখ তখন তোমার শীতকাল নিয়ে ভাবা উচিত ছিল এখানে তোমার জন্য কোন খাবার নেই বলেই পিঁপড়ে আর ফড়িঙের মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিল অলে ফড়িং এর কাছে আদা ছাড়া আর কোন উপায় থাকলো না
0 মন্তব্যসমূহ