সারাদিন সারারাত কষ্ট করে আপনি একটা ভিডিও তৈরি করে youtube এ upload করলেন তারপর দেখলেন সেই video তে 20 view আসে নাই ; বিশ্বাস করি শুধুমাত্র আপনার সাথে হচ্ছে তা কিন্তু নয় সকল নতুন youtuber এর ক্ষেত্রে এটি হয়েছে এমনকি আমার ক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে যে আমি দুই দিন কষ্ট করে একটা video upload করেছি তারপরে দুই সপ্তাহ পরেও দেখেছি এই video তে 50 টা view আসেনা| 


 আমরা youtube এ অনেক video দেখি যে video টার Content  কোয়ালিটি খুব বেশি ভালো না ভিডিও রেজুলেশন খুব বেশি ভালো না, খুব বেশি ভালোভাবে ভিডিওটা সে তৈরি করে নেয় তারপরেও দেখা যাচ্ছে সেগুলো থেকে লাখ লাখ, মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ পাচ্ছে ; যে ভিডিওগুলোর Content কোয়ালিটি খুবই ভালো ভিডিও রেজুলেশন টাও খুবই ভালো, সে খুব কষ্ট করে ভিডিওটা তৈরি করেছে তার পরে দেখা যাচ্ছে সেগুলো থেকে হাজার viewও পায় না| আসল কারনটা কি, এই ভিডিও টা কেনইবা ভাইরাল হল আর ওই ভিডিও টা কেনইবা ভাইরাল হলো না ; একটা ভিডিও ভাইরাল এর পিছনের মূল কারণ কি, কি থাকে কোন, কোন ট্রাফিক সোর্স এর মাধ্যমে বেশি পরিমাণে view পাওয়া যায় এমন কোন টিপস কাজে লাগিয়েছে যে টিপস গুলো মাধ্যমে এত বেশি view পেয়েছে|


এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করবো



আসলে আমি এমন একটি টিপস শেয়ার করব সেটা যদি আপনি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আমি 100℅ গ্যারান্টি দিতে পারি আপনি আপনার চ্যানেলেকে বা ভিডিও কে আগের তুলনায় একটু বেশি পরিমাণ হলেও rank করাতে পারবেন| নতুন ইউটিউবে কাজ করতে এসেছেন বা নতুন ইউটিউবে কাজ করতে চান তাদের জন্য এটি মোস্ট ইনপ্রডেন্ট এবং ইন্টারেস্টিং একটা post হতে চলেছেন post টি সম্পূর্ণ পড়ুন|


 একটা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পিছনে মোস্ট ইনপ্রডেন্ট যে কারণ সেটা হল Content, অবশ্য একটা ভালো মানের Content আপনি যদি ইউটিউবে আপলোড না করেন তাহলে সেই ভিডিওটা ভাইরাল হবে এটি আপনি আশা করতে পারেন না, তারপরে যে বিষয়টি আসে সেটা হল প্লাটফর্ম কোথা থেকে আপনি ভিডিওটা আপলোড করছেন ধরুন এখন আপনার দুইটা চ্যানেল আছে একটা চ্যানেলে এক হাজার সাবস্ক্রাইবার আবার  আর একটা চ্যানেলে এক লাখ সাবস্ক্রাইবার এখন আপনি যদি একই ভিডিও দুইটা চ্যানেলে আপলোড করেন তাহলে আপনি বুঝতে পারছেন যেটার এক লাখ সাবস্ক্রাইবার সেটা থেকে বেশি পরিমাণে view আসবে এবং ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি এখন আপনি যদি এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এই চ্যানেলটা থেকে একটা ভিডিও ভাইরাল করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এমন কিছু টেকনিক কাজে লাগাতে হবে| টেকনিকগুলো কাজে লাগানোর মাধ্যমে আপনার ভিডিওটা ভাইরাল করা সম্ভব, আপনার একটা ভিডিও থেকে view আসে কিন্তু ট্রাফিক সোর্স গুলো থেকে ; ট্রাফিক সোর্স বলতে যে জায়গাগুলো থেকে মানুষ আপনার ভিডিওতে ভিউ দিচ্ছে ইউটিউবে কিন্তু অনেকগুলো ট্রাফিক সোর্স আলদা আলদা ভাবে ভাগ করা আছে| এখানে অনেকগুলো ট্রাফিক সোর্স আছে এর ভেতরে যে মোস্ট ইনপ্রডেন্ট সোর্স আছে সেগুলো এখন আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব ;

 

এই সকল ট্রাফিক সোর্স গুলোর ভিতর আছে যেমন browser features  তারপরে youtube search,  ইউটিউব সার্চ এ ট্রাফিক টা হল most ইনপ্রডেন্ট রিসোর্স এটা আপনি আপনার মাথায় নোট করে রাখুন, বলতে পারেন এই সোর্সটা নিয়ে আজকের post তৈরি করা হয়েছে| তারপরে যে রিসোর্স গুলো আছে সেগুলো হলো সাজেস্টেড ভিডিও, নোটিফিকেশন, চ্যানেল পেজ, এক্সটার্নাল, ইউটিউব আদার ফিচারস, এরকম অনেকগুলো সোর্স আছে ; তো  সোর্স গুলি একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পেছনে মূল কারণ এর ভিতরে আপনার হাতে আছে দুইটা সোর্সস, এই দুইটা সোর্সস ব্যবহার করে আপনি আপনার ভিডিওটা rank করাতে পারেন | দুইটা সোর্স কি, কি ? একটা হলে ইউটিউব সার্চ এবং সেকেন্ড টা হল এক্সটার্নাল এবং বাকি যেগুলো আছে সেগুলো সম্পূর্ণ ইউটিউবের নিজের হাতে, ইউটিউব চাইলে এই সোর্স গুলোর মাধ্যমে আপনার ভিডিওটা ভাইরাল করে দিতে পারে সেগুলো ডিপেন্ড করবে আপনার ভিডিও কনটেন্ট এর উপরে এবং ইউটিউব এর নিজস্ব তার ওপরে এবং বাকি যে দুইটা ইউটিউব সার্চ এবং এক্সটারনাল এই দুইটা সোর্স দ্ব্যবহার করে আপনি একটা ভাল কনটেন্ট ভিডিও কে খুব সহজে রেংক করাতে পারেন| এখন এই দুইটা সোর্সের ভিতর প্রথমে যার কথা বলব সেটা হল এক্সটার্নাল, এক্সটার্নাল সোর্স হলো আপনার ভিডিওটা ইউটিউব এর বাইরে থেকে দেখা ; যেমন ধরুন ফেসবুকে আপনার ভিডিও লিংকটা শেয়ার করে দেখা, মেসেঞ্জারে লিংকটা শেয়ার করে দেখা, তার পরে আছে গুগল এ কেউ  search দিয়ে আপনার ভিডিওটা পেল সেখান থেকে ভিডিওটা দেখল এগুুলো হল ইউটিউব এক্সটার্নাল সোর্সস | এখন হলে ইউটিউব সার্চ, এটা নিয়ে মূল আলোচনা করব ; ইউটিউব সার্চ টা হল যে কিওয়ার্ডগুলো লিখে মানুষ চার্জ দেয়ার পরে আপনার ভিডিও টা পেয়েছেন | এখন আপনি একটা ভিডিও আপলোড করলেন "হাউ টু ক্রিয়েট ইউটিউব চ্যানেল" আপনি আপনার ট্যাগে দেখা যাচ্ছে এরকম কিছু কিবোর্ড ব্যবহার করেছেন "হাউ টু ক্রিয়েট ইউটিউব চ্যানেল", "ক্রিয়েট ইউটিউব চ্যানেল" ; এরকম ট্যাগগুলো ইউস করেছিন যে ট্যাগগুলোো search করে মানুষ আপনার ভিডিওটা পাচ্ছে এবং খুব সহজেই দেখতে পাচ্ছে প্রথমে | এখন আপনি ইউটিউবের সার্চ সোর্স কিভাবে কাজে লাগাবেন  এবং একটি ভালো মানের content তৈরি করবেন ; প্রথমে আমি আপনাদের যে কথাটি বলবো সেটা হল সিলেকশন আপনি এমন একটি কন্টেন সিলেক্ট করুন যে কন্টাক্ট এর ভিডিও মানুষ খুব দেখতে চাই কিন্তু এইরকম ভিডিও ইউটিউবে তৈরি হয়নি অথবা এরকম ভিডিও তৈরি হলেও সে ভিডিও গুলো খুব বেশি ভাল না বা এই ভিডিওগুলোতে খুব বেশি ইনফরমেশন দেওয়া নেই এইরকম একটা কনটেন্ট সিলেক্ট করুন তারপরে আপনি আমার এই টিপসটি কাজে লাগান দেখুন আপনাকে কেউ আটকাতে পারবেনা আপনার ভিডিওটা rank করা থেকে |সবার প্রথমে আপনাকে YT studio অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে ডাউনলোড করার জন্য আপনি আপনার ফোনের প্লে স্টোরে চলে যান প্লে স্টোরে যাওয়ার পরে সার্চ অপশনে লিখুন ইউটিউব স্টুডিও লিখে আপনি প্লে স্টোরে সারাদিন দেখতে পারবেন আপনার সামনে চলে এসেছে ইউটিউব স্টুডিও|


এটার সাইজ খুব বেশি না এটি আপনি আপনার ফোনে ইন্সটল করে নিন ইন্সটল করার পর ওপেন করুন ওপেন করার পড়ে আপনি যে ভিডিওটা একটু রেংক করাতে চান ; আপনার কাছে মনে হয় আপনার চ্যানেলের এই ভিডিওটা খুবই ভালো মানুষ খুব বেশি দেখতে চাই এরকম একটা ভিডিও আপনি সিলেক্ট করুন, সিলেট করার পরে সেই ভিডিওতে চলে যায় চলে যাওয়ার পরে দেখতে পাবে নিচে অপশন আছে ভিউ মোর,  ভিউ মোর অপশনে প্রথমে আপনি চলে যাবেন যাওয়ার পরে আপনি দেখতে পাবে 3th পজিশনে উপরে একটা অপশন আছে ডিসকভারি, এখন আপনি স্লাইড করে তিন নম্বর অপশন এসে ডিসকভার অপশনে চলে যান ডিসকভারি অপশনে যাওয়ার পরে আমি এতক্ষন ধরে যে কথাগুলো বললাম সেই সব গুলো এখানে আপনি দেখতে পারবেন ট্রাফিক রুলস গুলো এখন আপনি দেখতে পাবেন ;  এখন যদি আপনি নিচে চলে যায় নিচে চলে যাওয়ার পরে এখানে দেখতে পাবেন ইউটিউব সার্চ আইটেম, এই অপশনটা কাজে লাগিয়ে আপনি একটা ভালো মানের কনটেন্ট এর ভিডিও কে যে কোন চ্যানেল থেকে রেংক করাতে পারবেন এখন এই অপশনে আমি চলে যান| টপ ইউটিউব সার্চ আইটেম এই অপশনের যাওয়ার পরে এখানে আপনি দেখতে পারবেন অনেকগুলো কিবোর্ড আছে আপনার ভিডিওটা যদি সার্চ আইটেমে খুব বেশি rank করে, তাহলে এই কিওয়ার্ডগুলো আপনি দেখতে পারবেন | এখানে আপনি দেখতে পারবেন আপনার ভিডিওর কোন keyword থেকে বেশি view পেয়েছেন ; আপনি যদি ইউটিউব সার্চ এসে দেখেন এমন কিছু keyword আছে যেগুলো আপনার ভিডিওটার rank করার মূল কারণ অথচ এই কিওয়ার্ডগুলো আপনার ভিডিওতে ইউজ করেন নাই তাহলে এখনই এখান থেকে চার থেকে পাঁচটা কিওয়ার্ড আপনি কপি করে খাতায় লিখে রাখুন বা নোট করুন ; কপি করার পরে  ভিডিও এডিটর চলে যান, ভিডিও এডিটর যাওয়ার পরে একদম স্লাইট করে নীচে আসুন দেখতে পারবেন tags বলে একটা অপশন আছে| এই tags অপসনে আপনার সেই keyword গুলি খুব দ্রুত ব্যবহার করতে হবে ; এখন ওই জায়গায় আপনি ওই keyword গুলো দেখেন যে কি-ওয়ার্ড গুলো Search দেয়ার ফলে মানুষ আপনার ভিডিওটা দেখেছে সেই টপ রাংকিং এর কিওয়ার্ডগুলো আপনার ভিডিওতে ইউজ করা আছে তাহলে আপনাকে এই কাজটা করার দরকার নাই | মানুষ যে keyword গুলো সার্চ দিয়ে আপনার ভিডিওটা দেখে সেই keyword গুলি যখন আপনি আপনার ভিডিওতে ইউজ করবন তাহলে কিন্তু মানুষ খুব দ্রুত Search দিয়ে আপনার ভিডিওটা দেখতে পারবে যার কারণে আপনার ভিডিওটা আগের তুলনায় আরো বেশি পরিমাণে rank করবে | তো অনেক বকবক করলাম আশা করি post টা পড়ার পর আপনি অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন অনেক কিছু জানতে পেরেছেন বিশেষ করে যারা নতুন ইউটিউবে কাজ করতে আসছেন বা নতুন ইউটিউবে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে post টা মোস্ট ইনপ্রডেন্ট ছিল আশা করি post টা পড়ার পর আপনি খুব সহজে এখন আপনার ভিডিওগুলো কে rank করাতে পারবেন